Monday, 12 February 2018

`জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশু ও নারীদের সুরক্ষা দিতে একযোগে কাজ করতে হবে’

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিনিয়ত দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে। এর ফলে মিঠা পানির এলাকা গুলো লবনাক্ত হয়ে পড়ছে, কৃষক হারাচ্ছে তার কৃষি জমি । নদী ভাঙ্গনের সাথে সাথে দ্বীপজেলা ভোলার আয়তন দিন দিন ছোট হয়ে আসছে।
সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জলবায়ু উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যাও। চরম হুমকির মুখে পড়ছে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রা । তাই নারী ও শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন তারা।  এর জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন ভোলায় আয়োজিত এক কর্মশালার বক্তারা।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন বিষয়ক অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিন ।
কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা বিশেষকরে মনপুরা দ্বীপ থেকে শিশু ও যুব প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মতামত ব্যক্ত করেন ।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিন জলবায়ু পরিবর্তনে বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় একাডেমিক জ্ঞানের সাথে স্থানীয় মানুষের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সমন্নিত পথ নকশা তৈরি করার প্রতি গুরত্বারোপ করেন। জলবায়ু অভিযোজনে শিশু ও যুবদের ক্ষমতায়িত করতে হবে। তাদেরকে কল্পনার সুযোগ দিতে হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক। স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, স্যানিটেশনসহ অন্যান্য বিষয়গুলো কমিউনিটির লোকজনদের নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার কৌশল নির্ধারনের উপর সবাইকে এগিয়ে আসতে আহবান জানান তিনি ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচনায় অংশ নেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিয়া, প্লানিং ও মনিটরিং অফিসার আল মুুমিন মো. গোলাম সরোয়ার, প্রোগ্রাম অফিসার আ: জলিল, ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মাহামুদুল হক আজাদ, কোস্ট ট্রাস্ট টিম লিডার রাশিদা বেগম, আইইসিএম প্রকল্পের সম্মনয়কারী মো. মিজানুর রহমান, প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি নেয়ামত উল্ল্যাহ, ইয়ূথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্নয়ক সোহানুর রহমান, যুবরেড ক্রিসেন্টের যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু প্রমূখ।
এলসিবিসি অফিসার মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, ভোলা একটি ঘুর্ণিঝড় ও নদীভাঙন প্রবণ দ্বীপাঞ্চল। ঝড় ঝঞ্চার সাথে সংগ্রাম করে বেড়ে ওঠে এখানকার লড়াকু মানুষ। জীবন সংগ্রামের কারনেই তারা পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শিশু ও নারীরা। এক্ষেত্রে অর্থিক সংকটের কারনে জীবনযাত্রায় বিরুপ প্রভাব পরায় সামাজিক নিরাপত্তাও বিঘিœত হয়।
তবে যথাযথ সহায়তা পেলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা ভোলার মানুষ মানিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও উপকূলীয় অঞ্চলে এ সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক মানুষই সচেতন।
তাই এখনই জোরদার কার্যক্রম গ্রহন করা দরকার বলে তারা উল্লেখ করেন।

No comments:

Post a Comment

Featured post

YouthNet for Climate Justice receive Joy Bangla Youth Award 2018

Thirty organisations won the Joy Bangla Youth Award 2018 for their outstanding contributions to promoting youth employability, educa...