Tuesday 6 August 2019

যশোর রোডঃ গাছ কি উন্নয়নের পথের কাঁটা?

কলকাতা: ‘আমি চাই গাছ কাটা হলে শোকসভা হবে বিধান সভায়/ আমি চাই প্রতিবাদ হবে রক্তপলাশে রক্তজবায়’- গায়ক কবির সুমনের এ দাবি শুধু তার একার নয়, পরিবেশ-বান্ধব সকল বাঙালির। এবার এই দাবি বারাসাত আদালতের সৌজন্য আংশিক হলেও সত্যি হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে।

তবে শোকসভা নয়, ময়নতদন্ত করা হবে প্রতিটি গাছের মৃত্যুর।

গাছের প্রাণ আছে, বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু এই তত্ত্ব দেওয়ার আগে মানুষের ধারণা ছিল বৃক্ষ জড় পদার্থ।

যদি গাছের প্রাণ থাকে তবে আকস্মিকভাবে গাছের মৃত্যু হলে কেন বিনা ময়নাতদন্তে সেটিকে কেটে ফেলা হবে? কেন সরকারি গাছগুলির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বার করা হবে না?

এই প্রশ্নকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার পরিবেশপ্রেমীরা বারাসাত আদালতে একটি মামলা করেন।

মামলার রায়ে বিচারপতি বলেন, পরিবেশপ্রেমীদের দাবি সঙ্গত। সরকারি কোনো গাছ যদি মারা যায়, তবে তার মৃত্যুর কারণ খুঁজতে ময়নাতদন্ত করার আদেশ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতের আইনে যেকোনো রাস্তার ধারের গাছ, পার্ক, ময়দান, রেল স্টেশন ইত্যাদি জায়গার গাছের মালিক সরকার।

সমসাময়িককালে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় গাছের হঠাৎ করে শুকিয়ে যাবার খবর আসছিল। অনেকেই মনে করছিলেন, কোন অসৎ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে গাছগুলিকে মেরে ফেলা হচ্ছে।

আদালতের এই রায় আসার পরই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন দপ্তর নির্দেশ জারি করে, এরপর থেকে কোন সরকারি গাছ মারা গেলে, সেটিকে কেটে ফেলার আগে অবশ্যই তার মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে।

আদালতের এই রায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশপ্রেমী মানুষ। 


Ad 

No comments:

Post a Comment

Featured post

YouthNet for Climate Justice receive Joy Bangla Youth Award 2018

Thirty organisations won the Joy Bangla Youth Award 2018 for their outstanding contributions to promoting youth employability, educa...