Wednesday 21 February 2018

`বিশ্বজুড়ে বাংলা, ভাষার বিকৃতি প্রতিরোধে সোচ্চার তরুণ সমাজ আমরা'


বরিশাল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে চারুকলার দেয়ালচিত্রে ফুটে উঠেছে তরুণ সমাজের সোস্যাল মিডিয়ায় ভাষা বিকৃতি 

 সোহানুর রহমান : ‘বাহান্নতে মুখের ভাষা কিনছি বুকের খুনে রে/ বরকতেরা রক্ত দিছে বিশ্ব অবাক শুনে রে,/ দিছি রক্ত জন্মাবধি সাগর-সাগর নদী-নদী/ রক্তে বাংলা লাল কইরাছি  এই কথা তো মিথ্যা নয়।/  দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা কারো দানে পাওয়া নয়/ দাম দিছি প্রাণ লক্ষকোটি জানা আছে জগৎময়।’’- গীতিকার ও সুরকার আবদুল লতিফের এই গানটিই বলে দেয় কতটা গর্বের ধন আ’মরি বাংলা ভাষা। 

গোটা ধরীত্রির বহু ভাষাভাষীর মধ্যে শুধুমাত্র আমাদের বাঙলিরাই বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষায়  মুখের কথা বলার অধিকার আদায় করে গড়েছে সোনালী ইতিহাস। শেকল ভাঙা টগবগে বাংলা মায়ের দামাল ছেলের দল ১৩৫৯ বঙ্গাব্দের ৮ই ফাল্গুন অর্থাৎ ১৯৫২’র একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে সকল বাধা-বিপত্তি আর ভয়কে জয় করে রাজপথে নেমেছিল বলেই আজ আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি, ‘আমি বাংলাভাষী, বাংলা আমার মাতৃভাষা।’ 
Image may contain: 6 people, people smiling

 ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে যে সংগ্রাম গোড়া পত্তন হয়েছিল তা  শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফার স্বাধীকার আন্দোলণ হয়ে রুপ নেয় স্বাধীনতাযুদ্ধে। শেষাবধি ১৯৭১-এ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর নতুন দেশ গঠনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ নামে নতুন এক মানচিত্র। আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয় লাভ করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করি।

 ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনোস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় ভৌগোলিক সীমারেখা অতিক্রম করে পৃথিবীর সব জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে মাতৃভাষা বাংলার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগের মহিমা ছড়িয়ে পড়েছে।

 সাত’শ কোটির অধিক মানুষের হাজারো ভাষার মধ্যে বাংলা  আজ অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষা। যে ভাষায় বাংলাদেশ, ভারত, পশ্চিমবঙ্গ, আসামসহ কিছু এলাকায় বাংলাভাষী সহ পৃথিবীর প্রায় ২৫  কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলে মনের ভাব প্রকাশ করে। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আরও বেশ সংখ্যক প্রবাসী বাংলাভাষীতো রয়েছেনই। 

তবে সুখের বিষয় হচ্ছে, বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও আফ্রিকার একটি দেশ সিওরিলিওনে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃত আ’মরি বাংলাভাষা। 

হানাদার পাকিস্তানিরা নানা কৌশলে সংখ্যাগরিষ্ঠ উর্দু চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল, আমরা রক্ত দিয়ে তা প্রতিহত করেছি। সে কথা যেমনি সত্য, তবে  সমৃদ্ধ ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে যে রক্তেজেতা বর্ণমালা পেয়েছিলাম তার দুরাবস্থা এখন আমাদের সবার বিস্ময়ের কারণ।
No automatic alt text available.

 ভাষা হিসেবে বাংলারতো একটা প্রকৃত রূপ বা মান রয়েছে। সেই মান সাহিত্যের ভাষা, শিষ্টাচারের ভাষা, ভদ্র কথপোকথনের ভাষা, লেখাপড়ার ভাষা। আমরা ভুলে যেতে  বসেছি যে শুদ্ধ ও পরিশীলিত ভাষা চর্চা করা আবশ্যক। যে যেভাবে পারছে বাংলাভাষার বারটা বাজাচ্ছে।  

মোটকথা হচ্ছে, এতো দিনেও আমরা দেশের সর্বত্র বিশুদ্ধ ভাষা চর্চার কোনো কাঠামো গড়ে তুলতে পারিনি। এবারকার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে শিশুরা বাংলার চেয়ে ইংরেজীতে ভালো করছে। বিষয়টি আসলেই উদ্বেগের। তবে বাস্তবতা ভিন্ন।  

বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করবেন, দাম নেই। বাংলায় স্নাতকোত্তর  করবেন, ভালো চাকুরী নেই। উচ্চ আদালতে বিচার চাইলেও এর রায়টা পর্যন্ত বাংলায় পাবেন না। ইংরেজী থেকে অনুবাদ করে বুঝে নিতে হবে। 

আর বাংলায় কথা বলবেন কিংবা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেনতো আপনার নিজেরই সব ‘ইস্মাটনেস’ আর ‘সোস্যাল স্ট্যাটাস’ চুলোয় যাবে। এমন এক করুন পরিস্থিতে তরুণদের কাছে টানতে এক জগাখিচুরি বাংলার আশ্রয় নিচ্ছে গণমাধ্যম বিশেষ করে এফ রেডিও জকিরা।  
Image may contain: one or more people
প্রতীকী ছবি 
উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী বা দেশসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করা তরুণ সমাজ আজকাল আনাড়ি ফেসবুক ব্যবহারকারী বা মূর্খ-অর্ধ শিক্ষিতদের ব্যঙ্গ করতে গিয়ে এখন তারা নিজেরাই উপহাসের পাত্রে পরিণত হতে চলেছে। 

তারা বেশ আনন্দ চিত্তে মজা করেই লিখে থাকে ফডু, খিচ্চা, মঞ্চায়, গিবনে, হপে, খিচাইছে এমন সব উদ্ভট শব্দ স্ট্যাটাস-কমেন্টে থাকে প্রায় নিয়মিত, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধরেই নেবে এটাও ভাষা বাংলা। এই বাংলিশ ভাষারীতির সাথে গড়ে উঠেছে এক মনগড়া বিকৃত বাংলাভাষার কালচার। যাতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্ম। 

এর সঙ্গে আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে হিন্দির আগ্রাসন খানিকটাতো আছেই। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রদর্শিত শতকরা ৮০ ভাগ চ্যানেলে হিন্দিতে অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমাদের শিশুরা বুদ হয়ে রয়েছে হিন্দি কার্টুন আর ময়েরা সিরিয়ালে। যার ফলে পরিবারের ছেলে-বুড়ো সবাই মনের অজান্তে হিন্দিতে দক্ষ হয়ে উঠছে। প্রায়শই কথা বলছে হিন্দিতে। 

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তারা নিশ্চয়ই এরকম জঘন্যভাবে ভাষার বিকৃতি ঘটুক বা বাংলা অবমূল্যায়িত হোক তা চাননি। 

ভাষা আন্দোলন নিয়ে রয়েছে তারুণ্যের বহুমাত্রিক উদ্যোগ বিশ্বের হাতেগোনা যে কয়টি অনুষঙ্গের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে তার মধ্যে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অন্যতম। 
Image may contain: 6 people, people smiling, people standing and outdoor
আগামী প্রজন্মকে এ গৌরবান্বিত ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান, মাতৃভাষা চর্চা ও সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে এখনই কাজ করতে হবে। বাংলা ভাষার ইতিহাস আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। 

আমরা যেখানে যে মাধ্যমেই লিখি বা বলি না কেন, অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ভাষার যেন বিকৃতি না ঘটে।  উচ্চ আদালত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গণমাধ্যম সর্বস্তরে নিশ্চিত করতে হবে বাংলা ভাষার প্রচলণ। 

এছাড়া আঞ্চলিক ভাষার বিকাশ ও সংরক্ষণসহ ক্ষুদ্রজাতিসত্বার মাতৃভাষাকেও দিতে হবে সমান গুরুত্ব। আদিবাসী সন্তানেরা যদি তাদের মাতৃভাষায় পড়াশুনা এবং চাকুরী গ্রহণে সক্ষম হয় তবেই স্বার্থক হবে ৮’ই ফাল্গুনে ভাষা শহীদের আত্মত্যাগ। 

পরিশোধ করতে পারব তাদের রক্তের ঋণ। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় বাংলায় যে বিশ্বসভার দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা পাবে সেদিন আর বেশি দূরে নয়।
* লেখকঃ  নির্বাহী প্রধান, প্রতীকি যুব সংসদ, বাংলাদেশ

Wednesday 14 February 2018

ভোলায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন


জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের হাত থেকে উপকূলীয় জেলা ভোলাকে রক্ষার জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুযোর্গের ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজন বিষয়ক  দিন ব্যাপী  প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। 
জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফে’র সহযোগিতায় গতকাল মঙ্গলবার ভোলা জেলা প্রশাসন ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (সিথ্রিইআর)‘র যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই প্রশিক্ষনের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ।
Image may contain: 4 people, people sitting and indoor
স্থানীয় চিলড্রেন কাউন্সিল, কিশোর-কিশোরী ক্লাব সদস্য ও যুব রেড ক্রিসেন্ট এর ২৫ জন ইয়ুথ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।।
কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান।
Image may contain: 6 people, including Arabinda Sarkar, people sitting, table and indoor
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-ইউনিসেফ এর প্রোগ্রাম অফিসার আ: জলিল,ইউনিসেফ এর প্লানিং এন্ড মনিটরিং অফিসার আল মুমিন মো: গোলাম সারওয়ার, প্রশিক্ষক ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির লেকচারার শারমিন নাহার নিপা, এলসিবিসি অফিসার মো: আবদুস সালাম, ব্রাক ইউনিভার্সিটির ফিন্যান্সিয়াল এন্যালিস্ট বিশ্বজিৎ বাড়ৈ, ইয়ূথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান, ভোলা জেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট এর যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু প্রমুখ।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ধারণা  দেওয়ার পাশাপাশি  ঘূর্ণিঝড় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ে আলোকপাতসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, নারীও শিশুদের সমস্য নিরসন, অতি বৃষ্টির ফলে কি কি ধরনের সমস্য, অনাবৃষ্টি ও খরা সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
Image may contain: 5 people
পরে প্রশিক্ষনার্থীদের নিয়ে এক বছর ব্যাপী কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।

Monday 12 February 2018

`জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশু ও নারীদের সুরক্ষা দিতে একযোগে কাজ করতে হবে’

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিনিয়ত দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে। এর ফলে মিঠা পানির এলাকা গুলো লবনাক্ত হয়ে পড়ছে, কৃষক হারাচ্ছে তার কৃষি জমি । নদী ভাঙ্গনের সাথে সাথে দ্বীপজেলা ভোলার আয়তন দিন দিন ছোট হয়ে আসছে।
সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জলবায়ু উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যাও। চরম হুমকির মুখে পড়ছে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রা । তাই নারী ও শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন তারা।  এর জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন ভোলায় আয়োজিত এক কর্মশালার বক্তারা।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন বিষয়ক অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিন ।
কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা বিশেষকরে মনপুরা দ্বীপ থেকে শিশু ও যুব প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মতামত ব্যক্ত করেন ।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিন জলবায়ু পরিবর্তনে বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় একাডেমিক জ্ঞানের সাথে স্থানীয় মানুষের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সমন্নিত পথ নকশা তৈরি করার প্রতি গুরত্বারোপ করেন। জলবায়ু অভিযোজনে শিশু ও যুবদের ক্ষমতায়িত করতে হবে। তাদেরকে কল্পনার সুযোগ দিতে হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক। স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, স্যানিটেশনসহ অন্যান্য বিষয়গুলো কমিউনিটির লোকজনদের নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার কৌশল নির্ধারনের উপর সবাইকে এগিয়ে আসতে আহবান জানান তিনি ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচনায় অংশ নেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিয়া, প্লানিং ও মনিটরিং অফিসার আল মুুমিন মো. গোলাম সরোয়ার, প্রোগ্রাম অফিসার আ: জলিল, ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মাহামুদুল হক আজাদ, কোস্ট ট্রাস্ট টিম লিডার রাশিদা বেগম, আইইসিএম প্রকল্পের সম্মনয়কারী মো. মিজানুর রহমান, প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি নেয়ামত উল্ল্যাহ, ইয়ূথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্নয়ক সোহানুর রহমান, যুবরেড ক্রিসেন্টের যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু প্রমূখ।
এলসিবিসি অফিসার মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, ভোলা একটি ঘুর্ণিঝড় ও নদীভাঙন প্রবণ দ্বীপাঞ্চল। ঝড় ঝঞ্চার সাথে সংগ্রাম করে বেড়ে ওঠে এখানকার লড়াকু মানুষ। জীবন সংগ্রামের কারনেই তারা পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শিশু ও নারীরা। এক্ষেত্রে অর্থিক সংকটের কারনে জীবনযাত্রায় বিরুপ প্রভাব পরায় সামাজিক নিরাপত্তাও বিঘিœত হয়।
তবে যথাযথ সহায়তা পেলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা ভোলার মানুষ মানিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও উপকূলীয় অঞ্চলে এ সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক মানুষই সচেতন।
তাই এখনই জোরদার কার্যক্রম গ্রহন করা দরকার বলে তারা উল্লেখ করেন।

Featured post

YouthNet for Climate Justice receive Joy Bangla Youth Award 2018

Thirty organisations won the Joy Bangla Youth Award 2018 for their outstanding contributions to promoting youth employability, educa...